পেট ব্যাথা অনেক গুলো কারন আছে! তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে গ্যাস্টিক ও আমশা এছাড়াও অতিরিক্ত ভাঁজা পুড়ি, অতিরিক্ত মসলা,তৈলাক্ত খাবার, অতি মাত্রায় তরকারিতে ঝাল, বোনা জাতীয় খাবার ইত্যাদি। এস খাবার খেলে পেটে ব্যাথা হতে পারে। আবার সময় মত খাবার না খাওয়া, অল্প পানি পান করা, এসব কারনেও আমদের পেটে ব্যাথা হতে পারে। পেট ব্যাথা, মাথা ব্যাথা, গলা ব্যাথা সহ যেকোনো ব্যথানাশক ওষুধের অনেক ক্ষতিকারক দিক আছে। বিশেষ করে অতিরিক্ত ব্যাথানাশক ঔষধ খেলে কিডনি সমস্যা হতে পারে। তাই খুব বেশি জরুরি না হলে ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া একেবারেই উচিত না। এক্ষেত্রে আপনার পেটের ব্যাথা কমানোর জন্য ঘরোয়া বা প্রকৃতিক ৫ টি কার্যকরী উপায় ও সমাধান দেওয়া হলো।
আদা বা আদা চা
পেটের ব্যাথা কমাতে এবং বমি ভাব দূর করতে আদাকে প্রকৃতিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে প্রচীনকাল থেকেই, আদায় অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি প্রদাহ বিরোধী গুণ আছে যার ফলে, আদার রস পেটের ব্যাথা কমাতে সহায়তা করে। তাই আপনার যদি হটাৎ করে পেটের ব্যাথা অনুভব হয় তাহলে সাথে সাথে এক চা-চামচ আদার রস খেয়ে নিবেন
কলা ও আপেল
পেট ব্যাথা তাড়াতে খুবই কার্যকরী দুটি ফল হচ্ছে আপেলে ও কলা। এই দুটি ফলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। আর এ কারণে এগুলো পেটের ব্যথা কমাতে সহায়তা করে। আপনি যদি ঘরোয়া উপায়ে পেট ব্যাথা কমাতে চান তাহলে যখন পেট ব্যাথা অনুভব হবে তখন একটি কল ও একটি আপেল খেলে পেট ব্যাথা কমতে পারে।
সাদা ভাত
যখন পেট ব্যাথা হবে তখন যদি ২/৩ নলা সাদা ভাত খান তাহলে আর পেট ব্যাথা থাকবে না, কারণ সাদা ভাতে কোনো মশলা বা লবন থাকে না। তাই এটি পেটের ব্যাথা থাকলে তা নিরাময়ে সহায়তা করতে পারে।
পুদিনা পাতা
পেটের ব্যাথা এবং পেট খারাপের জন্য অনেক সহায়ক ও কার্যকরী একটি প্রাকৃতিক ঔষধ হচ্ছে পুদিনা পাতা। এই পাতায় প্রকৃতিক ব্যথানাশক বৈশিষ্ট আছে। তাই পেট ব্যাথা কমানোর প্রাকৃতিক সমাধাণ হিসেবে পুদিনা পাতা চিবিয়ে বা রস বের করে সেই রস খেলে পেট ব্যাথা সেরে যাবে।
লবন পানি
পেট ব্যাথার সবচেয়ে পুরোনো এবং বেশি কার্যকরী প্রাকৃতিক ঔষধ হচ্ছে লবন পানি, হঠাৎ যদি মাঝরাতে পেট ব্যাথা শুরু হয় তখন প্রোয়জন থাকা সত্বেও ডাক্তারের সহযোগিতা নিতে পারবেন না বা ঔষধ কিনতে পারবেন না, তখন যদি আপনি এক গ্লাস পানিতে এক চিমটি লবন মিশিয়ে সেই পানি টান করেন তাহলে পেট ব্যাথা অনেকটাই কমে যাবে।
0 Comments