কারক কাকে বলে ?
বাক্যে ক্রিয়া পদের সাথে অন্যান্য পদের যে সম্পর্ক তাকে কারক বলে।
সম্বন্ধ পদ কাকে বলে ?
উল্লেখ্য যে, যে সকল পদের সম্পর্ক ক্রিয়াপদের সাথে নাই, বরং বাক্যস্থিত অন্যান্য পদের সাথে সম্পর্ক থাকে সেই সকল পদকে সম্বন্ধ পদ বলে। যেমন:
করিমের বাবা মাছ ধরিতেছে। এখানে মাছ ধরিতেছে করিমের বাবা। তাহলে বাবার সাথে কাজের সম্পর্ক রয়েছে। বাবার সাথে সম্পর্ক কার? নিশ্চয়ই করিমের।
অতএব এই বাক্যে করিমের এই পদটি একটি সম্বন্ধ পদ।
কারক বিশ্লেষণ:
আমরা একটি উদাহরণ দিতে পারি,
রাজা প্রাসাদে বসে নিজ হস্তে অর্থভান্ডার থেকে প্রজাদেরকে অর্থ প্রদান করেন ।
উপরোক্ত বাক্যে,
ক্রিয়াপদটি হলো - প্রদান করা।
কে প্রদান করে?—-রাজা (কর্তৃকারক)
কাকে প্রদান করে? —প্রজাদেরকে ——স্বত্ব ত্যাগ করে
দান করা হয়েছে (সম্প্রদান কারক )
কি দ্বারা প্রদান করে?—নিজ হস্তে ( করণ কারক )
কোথা থেকে প্রদান করে?—-অর্থভান্ডার থেকে
(অপাদান কারক )
কোথায় বসে প্রদান করে? —প্রাসাদে বসে
(অধিকরণ কারক)
কি প্রদান করে? — অর্থ ( কর্মকারক )
অতএব ছয় প্রকার কারক উপরে উল্লেখ করা হলো।
১। কর্তা, ২। কর্ম, ৩। করণ, ৪। সম্প্রদান, ৫। অপাদান,
ও ৬। অধিকরণ।
অনেক সময় ভুলক্রমে
তিলে তৈরি হয়। তিলে পদকে অধিকরণ মনে হয়। এখানে কিন্তু অবস্থান বুঝায় না। বরং তিল থেকে তৈলের বিচ্যুতি বুঝায়। অতএব এখানে তিলে পদটি হল অপাদান কারক।
আবার যদি অবস্থান বোঝায়, তাহলে কিন্তু অধিকরণ কারক হবে।
যেমন:
তিলে তৈরি আছে। এখানে তিল থেকে তৈল বিচ্যুত হয় নাই। বরং তিলে তৈলের অবস্থান বোঝাচ্ছে।
অতএব এখানে তিলে পদটি অধিকরণ কারক।
তাহলে বন্ধুগণ, এই ছয় প্রকারের ছয়টি পদ, প্রত্যেকটির ক্রীড়াপদের সাথে সম্বন্ধ রয়েছে বিধায় এদেরকে কারক বলে আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
কারক নির্ণয়ের উদাহরনঃ
শিশুগণ দেয় মন নিজ নিজ পাঠে। শিশুগণ = কর্তৃকারক
চাকর নিয়ে আস। চাকর=কর্মকারক
লুডু খেলা ভাল না। লুডু=করন কারক
অন্ধজনে দেহ আলো অন্ধজনে= সম্প্রদান কারক
বাঘের ভয় করলে যাত্রা হবে না। বাঘের=অপাদান কারক
সকাল বেলা ঘুমিয়ে থাকা ভালো না। সকালবেলা=অধিকরণ কারক
আপনার জন্য প্রশ্ন:
সম্বন্ধ পদ কারক নয় কেন?
1 Comments
পোষ্ট লিখেছেন সুন্দর হইছে। তবে পোষ্টের লেখাগুলো ছোট বড় এবং আগোছালো অবস্থায় রয়েছে। একটু সুন্দর করলে ভালো হত।
ReplyDelete