নির্দিষ্ট কলাকৌশল এবং প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে ঘরের ভিতর চৌবাচ্চাতে মাছ চাষের পদ্ধতিকে 'বায়োফ্লক প্রযুক্তি বলা হয়। এ পদ্ধতিতে জৈব বর্জ্যের পুষ্টি থেকে পুনঃব্যবহারযোগ্য খাবার তৈরি করা যায়। তাই অল্প জমিতে অধিক পরিমাণ মাছ উৎপাদন করতে বায়োফুর প্রযুক্তি অতুলনীয়। বায়োফ্লক প্রযুক্তি ব্যাকটেরিয়া, অণুজীব ও শৈবালের সমম্বয়ে তৈরি হওয়া পাতলা আস্তরণ যেটা জলকে শোধন করে জল থেকে নাইট্রোজেন জাতীয় ক্ষতিকর উপাদানগুলি শোষণ করে নেয় এবং এর প্রোটিন সমৃদ্ধ উপাদান মাছ খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করতে পারে।
এই পদ্ধতিতে ছোট ছোট ট্যাংকে অনেক মাছ উৎপাদন সম্ভব হয় এবং ট্যাংকের পানি খুব কম পরিবর্তন করতে হয় তাই অল্প জমি ও অল্প পানি ব্যবহার করে অধিক মাছ উৎপাদন সম্ভব হয়। এই পদ্ধতিতে মাছ চাষে ব্যবহৃত বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ ও অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োজন নেই বললেই চলে। তাই এটি একটি পরিবেশবান্ধব মাছ চাষ পদ্ধতি।
বায়োফ্লক প্রযুক্তির ইতিহাস
বায়োফ্লক প্রযুক্তির জনক হচ্ছেন ইসরাইলি বিজ্ঞানী ইয়ান এডনিমেলেচ। ১৯৮০ এবং ১৯৯০-এর দশকের শেষের দিকে তেলাপিয়া এবং এল ভ্যানামেইয়ের নিয়ে গবেষণা ও উন্নয়ন শুরু করে এরপর ১৯৯৪ সালে Solar Aquafarms নামক তেলাপিয়া খামারে বাণিজ্যিকভাবে বায়োফ্লক প্রযুক্তি ব্যবহার করেন। সে সময় এ প্রযুক্তির নাম ছিল Organic Detrital Algae Soup System
গবেষণালব্ধ জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে বায়োফ্লক প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে সফলভাবে চিংড়ির প্রথম বাণিজ্যিক চাষ শুরু হয়ে মধ্য আমেরিকার দেশ বেলিজ পরবর্তীতে থাইল্যাণ্ড, ইন্দ্রোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, ভারতে বায়োফ্লক প্রযুক্তি জনপ্রিয়তা লাভ করে। বর্তামানে আমাদের বাংলাদেশেও বিভিন্ন বেসরকারি উদ্যোক্তাদের পাশাপশি মৎস্য অধিদপ্তরের কারিগরি সহায়তায় বায়োফ্লক প্রযুক্তিতে মাছচাষ সম্প্রসারিত হচ্ছে।
শেষ করছি তার আগে বলি! নিয়মিত অনলাইন ইনকাম ও তথ্য প্রযুক্তি সকল টিপস ও টিউটোরিয়াল জানতে ভিজিট করতে পারেন।
https://www.projuktibuzz.com/
2 Comments
This comment has been removed by the author.
ReplyDeleteCongratulations, a famous contant writer, Mr. Arman Hossain for writing a very useful article.
ReplyDelete