লোডশেডিং কি এবং কেন হয় ? এটি বর্তমান সময়ের ( আগষ্ট,২০২২ ) একটি বহুল আলোচিত বিষয়।
চলুন জেনে নেওয়া যাক লেডিশেডিং আসলে কি ?
অনেক সময় আমরা মনে করি বিদ্যুৎ চলে গেলেই হয়তো লোডশেডিং হয়েছে।
প্রকৃত ব্যাপারটা হল কোন একটা দেশে বিদ্যুতের চাহিদার তুলনায় উৎপাদন যদি কম থাকে সেই ক্ষেত্রে কোন কোন এলাকায় ঘাটতি পরবে এটাই স্বাভাবিক। তখন স্বাভাবিকভাবেই গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় যেমন জীবন রক্ষাকারী ওষুধ শিল্প, খাদ্য শিল্প, হাসপাতাল , এ সমস্ত এলাকায় বিদ্যুৎ জরুরি ভিত্তিতে চালু রেখে সাধারণ এলাকাগুলোতে কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রেখে পর্যায়ক্রমে বিদ্যুৎ বিতরণ করার এই প্রক্রিয়াকেই লোডশেডিং বলে।
বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণের বর্তমান অবস্থা:
বাংলাদেশের বর্তমানে যে পরিমাণ বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে তার চেয়ে উৎপাদন কিন্তু অনেক বেশি।
বর্তমানে দেশে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে তার ক্ষমতা ২৩,৫৪৮ মেগাওয়াট। অথচ দেশের বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে মাত্র ১২,০০০ মেগাওয়াট । তারপরেও লোডশেডিং কেন হয়? নিশ্চয়ই এর পিছনে কিছু কারণ রয়েছে।
প্রথমত যে কারণটি আমাদের সামনে চলে আসে এটা হল সিস্টেম লস।
দ্বিতীয় যে কারণটি হতে পারে সেটা হল সুষ্ঠু বিতরণ ব্যবস্থাপনা।
তৃতীয় কারণ কি হতে পারে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ।
চতুর্থ কারন কি হতে পারে জনসচেতনতার অভাব।
পঞ্চম কারণটি হতে পারে কারিগরি ত্রুটি।
লোডশেডিং এর কুফলঃ
একটি দেশের সার্বিক উন্নয়ন নির্ভর করে শিল্পায়নের উপর । অথচ এর মূলে রয়েছে বিদ্যুৎ এবং গ্যাস। এই দুইটি জ্বালানি ছাড়া কোন অবস্থায় শিল্পায়ন এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয় ।
ঘন ঘন লোডশেডিং দেশের শিল্পায়নের ক্ষেত্রে যেমন হুমকিস্বরুপ, জনগণের সার্বিক জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের ক্ষেত্রেও এটি হুমকিস্বরূপ।
বর্তমানে সর্বশেষ যে শিল্প ব্যবস্থা আমাদের যুব সমাজের মধ্যে সারা জাগিয়েছে সেটি হল ডিজিটাল ইন্ডাস্ট্রি। এই ইন্ডাস্ট্রিতে যে সমস্ত ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করা হয় সবগুলোই এই বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীল। তাই ঘন ঘন লোডশেডিং এই উদীয়মান শিল্পটিকে হুমকির মুখে ফেলে দিতে পারে।
এজন্য এই গ্যাস এবং বিদ্যুতের সাথে জড়িত দেশের সকলকে সমন্বিত পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে এবং সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
0 Comments