কিভাবে স্বাস্থ্যবান হওয়া যায় ?

 কিভাবে স্বাস্থ্যবান হওয়া যায় এই বিষয়টি আমাদের জানা আছে । তবে বারবার আলোচনায় বিষয়গুলি চোখের সামনে চলে আসলে প্র্যাকটিস করতে সুবিধা হয়।

কিভাবে স্বাস্থ্যবান হওয়া যায় ?


জ্ঞানী ব্যক্তিদের কথা আমাদের সবার মনে আছে, Early to bed and early to rise makes a man healthy wealthy and wise. কিন্তু আমরা কয়জনই বা এই কথা মনে রাখি ?

যে বিষয়গুলো বিবেচনায় আনতে হবে,


১। শারীরিক স্বাস্থ্য ২। মানসিক স্বাস্থ্য ৩। সামাজিক স্বাস্থ্য ও ৪। আধ্যাত্মিক স্বাস্থ্য।


আজকে মূলত যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি সেটি হচ্ছে :


শারীরিক স্বাস্থ্যঃ


শারীরিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য যে বিষয়গুলি মেনে চলতে হবে সেগুলি হল:


১। নিয়মিত ঘুম গোসল এবং খাওয়া।



ঘুম সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত বিশাল এক নিয়ামত। আমরা যখন ঘুমাই তখন আমাদের ভিতরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিরাময় কার্যক্রম শুরু হয়। 

রাত দশটার মধ্যে যারা ঘুমিয়ে যায়, traditional Chinese medicine ( TCM ) এর মতে তারা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয় । কারণ আমাদের লিভার কাজ শুরু করে আমরা যখন রিলাক্স হই । আবার রাত বারোটার পরে আমাদের কিডনি শরীরের বর্জ্য পদার্থ গুলিকে  বডি থেকে নিষ্কাশন করার কাজ শুরু করে। 

অথচ আমরা অনেকেই আছি, রাত বারোটা , একটা , এমনকি দুইটা পর্যন্ত আমরা মোবাইল নিয়ে সময় পার করছি। ফলে অধিকাংশ মানুষেরই কোষ্ঠকাঠিন্য , মাথাব্যথা, শীর্ণ দেহ,  মাথা ঘুরানো, প্রেসারের অসমতা ইত্যাদি রোড ব্যাধি তৈরি হয়।


২। নিয়মিত দাঁত ব্রাশ এবং কুষ্ঠ পরিষ্কার করা।


আমরা অনেকেই কেমিক্যাল যুক্ত পেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করি। আপনারা খেয়াল করবেন যে, এই পেস্ট দিয়ে বাথরুমের কঠিন দাগ পর্যন্ত পরিষ্কার করে ফেলা যায়। তার মানে এটা একটা অত্যন্ত শক্তিশালী কেমিক্যাল যা আমাদের দাঁতের বহিরাবন কে ক্ষতিগ্রস্ত করে। যথাসম্ভব প্রাকৃতিক উপাদান দ্বারা তৈরি পাউডার দিয়ে দাঁত ব্রাশ করতে পারলে উত্তম।

মনে রাখতে হবে দিনে কমপক্ষে একবার যদি কুষ্ট পরিষ্কার না হয় তাহলে আপনি নিশ্চিত কঠিন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। আর এই পেট পরিষ্কার করার একমাত্র সমাধান হলো রাত দশটার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়া, ধূমপান ছেড়ে দেওয়া এবং মোবাইল আসক্তি পরিহার করা।

যাদের বেশি সমস্যা হয় তারা সোনা পাতা পাউডার রাতে ভিজিয়ে রাখবেন এবং সকালবেলা সেই পানি নিয়মিত পান করবেন সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত।


৩। জীবনের আলো সেবন ও দম চর্চা করা।



The light of life- জীবনের আলো, যারা রাত দশটার মধ্যে ঘুমাতে পারেন না,  তারা জীবনেও সেই সকাল বেলার গাছের পাতার ফাক দিয়ে যে রোদটা আসে, তারা সেই রোদ কোনদিনও সেবন করতে পারেনা। সেই রোদটাই হচ্ছে জীবনের আলো । সেই আলো সেবন করার সৌভাগ্য কয়জনের হয় ?

সকাল বেলার রোদে বসে দম টানো,  দম ছাড়ো কমপক্ষে 20 বার চর্চা করলে ফুসফুস ভালো থাকে,  ফুসফুসের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়।


৪। রংধনু খাবার চর্চা করা।



আমাদের শিক্ষক ডাক্তার আলমাসুর রহমান এই বিষয়ে ব্যাপক গবেষণা করেছেন এবং তিনি বলেছেন , বাজারে গিয়ে সবাই সবুজ শাকসবজি নিয়ে আসি,  যার মধ্যে শুধুমাত্র রয়েছে ভিটামিন সি । অথচ আমাদের ভিটামিন এ,  বি , ডি,  এধরনের সব ভিটামিন আমাদের প্রয়োজন যা পাওয়া যায় রংধনুর সাত রং এর খাবারের মধ্যে। আশা করা যায় রংধনু খাবার চেষ্টা করলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যাবে এবং করোনা - বরুনা যাই হোক না কেন আমাদেরকে কোন ক্ষতি করতে পারবে না। তবে এক্ষেত্রে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সাহায্য প্রার্থনা করতে হবে।


৫। প্রার্থনা, নিয়মিত ব্যায়াম ও ধ্যান চর্চা করা।



সকল ধর্মেই প্রার্থনার বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে ।যারা নিয়মিত প্রার্থনায় অংশগ্রহণ করে,  তাদের ভিতরে স্বয়ংক্রিয় নিরাময় পদ্ধতি সর্বদা জাগ্রত থাকে।  আমাদের শরীরে লক্ষ্য কোটি সেল বা কোষ রয়েছে, সেগুলো প্রশান্ত থাকে । তারা নিয়মিত রিপেয়ার,  রি- জেনারেট এবং রিপ্লেস  শরীরের মধ্যে ভারসাম্যপূর্ণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলে।

ব্যায়ামের মাধ্যমে আমাদের শরীরের বর্জ্য পদার্থ গুলি নিয়মিত নিষ্কাশন হয়ে যায়, অতিরিক্ত চর্বি বার্ন হয়ে যায়, অতিরিক্ত গ্লুকোজ এর ভারসাম্য তৈরি হয়, ফলে ডায়াবেটিস থাকে না। এছাড়া দেহের মাংসপেশি সুগঠিত হয় হৃদরোগ উচ্চ রক্তচাপ এগুলার ভারসাম্য তৈরি হয়।

এছাড়া ধ্যান চর্চাও সুস্বাস্থ্যের অন্যতম একটি পদ্ধতি। যদিও আমরা প্রার্থনার মাধ্যমেই এটি করতে পারি। এরপরেও  ধ্যান চর্চার কিছু কৌশল রয়েছে যে কৌশল গুলি গুরু সান্নিধ্য ছাড়া অর্জন করা সম্ভব না।


Post a Comment

2 Comments

  1. খুবই কার্যকরী একটি পোস্ট

    ReplyDelete