আমাদের প্রত্যেকের অন্তঃকরণে দুই ধরনের মনোভাব সদা বিরাজমান।
ধর্মীয় দৃষ্টিতে এই সুচিন্তা প্রকৃতির ধর্ম। যেমন ধান গাছে ধান হয় , গম কখনও হবে না। তেমনিভাবে সূর্য পূর্ব দিকে উদিত হয়, পশ্চিমদিকে অস্ত যায়। বিষ খেলে মানুষ মরে যায় ।
আবার দুধ খেলে মানুষ বেঁচে যায়। এ সবই প্রকৃতির ধর্ম । দেখা যাচ্ছে মানব প্রকৃতির মধ্যে যে স্বচ্ছ বিবেক রয়েছে , সেটাও প্রকৃতির ধর্মের মধ্যেই পড়ে। কেননা, আল্লাহ তাআলা হলেন পুত পবিত্র। সে কারণে আল্লাহ তাআলার বাণী গুলো পবিত্র। পবিত্র অন্তঃকরণ বা স্বচ্ছ বিবেক ছাড়া এই পবিত্র বাণী গ্রহন করতে পারেনা।
প্রিয় পাঠক , আপনাদের আনন্দ বিনোদনের মাধ্যমে ফিতরাত বুঝানোর জন্য ছন্দাকারে উপস্থাপন করা হল।
প্রকৃতির কোনে কোনে, ভ্রমরের গুঞ্জরণে, ঝর্নার কলতানে,
কি মধুর ছন্দ আছে, ফিতরাতেরই কারণে।।
মানুষ কভু যন্ত্র নয় , নয় কোন অতিমানব,
প্রকৃতির সন্তান সে, ফিতরাতেরই অনুগামী,
উল্টা পথে গেলে তুমি, বিদ্ধ হবে ষড়বাণে।।ঐ
সূর্য ওঠে পূর্বদিকে, অস্তযায় পশ্চিমে,
ছোট্ট শিশুর জন্ম হয় ,যৌবন যেন খড় তাপময়,
অস্তমিত সেও একদিন হয়, ফিতরাতেরই কারনে।।ঐ
ওহে সব চক্ষুষ্মান, খুলে দেখ অন্তরযান,
প্রকৃতির প্রতিটি কণা, আজীবন হয়ে নতজান,
মগ্ন আছে ইবাদতে তাঁর, রেখে তাঁরে সযতনে।।ঐ
স্বচ্ছ মনে ধ্যানকর, মনের বাধা দূর কর,
দেখবে তোমার স্বত্বাকে ,কি আনন্দে নত হয়ে,
লুটে পড়ে রয় সেজদায়, থাকে শুধু গভীর ধ্যানে।।ঐ
কুল্লু ওয়ালাদুন,
ইউলাদু আলাল ফিতরাতে,
মানুষ করে বিপথগামী, দেয় মন্ত্রনা দিনেরাতে,
নইলে শিশু আবেদ হতো, মহান রবেরই স্মরণে।।ঐ
ধান গাছেকি গম হয়, গম গাছে কি ধান হয়,
ফিতরাত এমনই জিনিস, বুঝলে সবাই অনুগামী হয়,
রবের ডাকে চলে এস, বেঁচে যাবে মিজানে।।ঐ
সম্পদের সুষম বন্টন, হয়না শুধু একই কারন,
না মেনে নিলে ফিতরাত, পাহাড় সম ভরবে ধনে,
ধ্বংস করে স্রষ্টা তখন, ব্যালেন্স করেন সংগোপনে।।ঐ
মানব তৈরী কেবল যেন, থাকে শুধু ফিতরাতে,
এখনও কি বুঝেনা মন, তুষ্ট থাক ডাল-ভাতে,
পরের তরে হয়ে বিলীন, রাখ ভরসা আসমানে।।ঐ
আবদুল্লাহ, বনশ্রী,
২৬/০৯/১২
(খ্রীঃ)
0 Comments