যদি আমি এভাবে বলি, সফলতার মূলে রয়েছে ধৈর্য্য।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁর পবিত্র কালামে এরশাদ করেছেনঃ
নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের সঙ্গে রয়েছেন।
মানব বংশ বিস্তারে ধৈর্য্যঃ
ধরুন কোন যুগল সন্তান চায়, তাদেরকেতো ১০ মাস ধৈর্য্যধারন করতে হবে। অস্থির হলেতো চলবেনা।
প্রকৃতি জগতে ধৈর্য্যঃ
যদি কেউ লাউ-সিম ইত্যাদি সব্জি চাষও যদি করেন তাহলেওতো ৩ থেকে ৬ মাস ধৈর্য্য ধারন করতে হবে।
আর আম , জাম, লিচু, কাঁঠাল বা নারিকেল ইত্যাদি ফলবান বৃক্ষ রোপন করলেতো ৩ থেকে ৬ বছর ধৈর্য্যধারন করতে হবে।
বিজ্ঞানী এডিসনের ধৈর্য্যঃ
বিজ্ঞানী এডিসন বৈদ্যুতিক বাল্ব আবিস্কার করতে গিয়ে ১০০০ বার চেষ্টা করেছিলেন। ওনার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, এত ধৈর্য্য কোথায় পেলেন। উনার সাবলীল উত্তর ছিল, আমি জানতাম আরেকবার চেষ্টা করলেই হবে।
কানা বকের ধৈর্য্যঃ
একটি কানা বক খালের পাশে সকাল থেকে এক ধ্যানে বসে আছে। বিকালে স্কুল থেকে ফেরার পথে দেখলাম সে ওভাবেই একপায়ে ভর দিয়ে ঠায় দাড়িঁয়ে আছে। বলতে পারেন কেন ?
উত্তর একেবারেই সোজা। সে একটি মাছের আশায় এভাবে দাড়িঁয়ে আছে। সে তার কাজের ফলাফলের জন্য একবারে মরিয়া। সে তার লক্ষ্যে পৌছানোর জন্য এতটাই মরিয়া , সে জানে একটু লক্ষ্যভ্রষ্ট হলেই শিকার ছুটে যাবে। এজন্য সে তার শিকারের দিকে সর্বক্ষন ফোকাস দিয়ে রেখেছে।
অতএব আমরাও আমাদের লক্ষ্যে অটুট থাকলে, বকের মত ধৈর্য্যশীল হতে পারি।
এরপরও যারা ধৈর্য্যশীল হতে পারছেন না, তাদের প্রতি সর্বশেষ পরামর্শ হল, আপনাকে ধৈর্য্য ধরে কাজটি চালিয়ে যেতে হবে।
0 Comments