Power of Positive Mental Attitude - বর্তমানে একটি বহুল আলোচিত বিষয়।
বিখ্যাত আমেরিকান লেখক নেপুলিয়ান হিল একটি বই লিখেছিলেন, Think and Grow Rich.
এটা কিন্তু খুবই চিন্তার বিষয়। শুধু চিন্তা করেই ধনী হওয়া যায় ? হাঁ, অবশ্যই। কেননা মানুষ তার চিন্তার সমান বড়। যে যত বড় চিন্তা করে, তার পরিকল্পনাও তত বড় হয় এবং কাজের পরিধিও তত বড় হয়। তার সফলতাও বেশী।
ইতিবাচক শুধু ধনী হওয়ার চাবিকাঠি নয়, এটা মানুষের পুরা জীবনকেই নিয়ন্ত্রন করে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম নায়ক তৎকালীন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চর্চিল বলেন, The optimist ( ইতিবাচক বা আশাবাদী ) sees opportunity in every difficulty.
The optimist ( ইতিবাচক বা আশাবাদী ) এবং The pessimist ( নেতিবাচক বা নৈরাশ্যবাদী ) মানুষ , ছবি দেখলেই বুঝতে পারবেন, কে সফল হবে।
চলুন দেখি ইতিবাচক চিন্তা আমাদের জীবনে কি কি ফলাফল আনতে পারে ?
১। মানসিক চাপ কমায়ঃ
ইতিবাচক চিন্তার মানুষ যেহেতু কোনো নেতিবাচক বিষয় লালন করেন না , এজন্য তিনি সর্বদা মানসিক চাপমুক্ত থাকেন। ফলে উনি সর্বদা হাসিখুশি উৎফুল্ল জীবন যাপন করেন। এতে করে উনি রোগ মুক্ত সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হন। ফলে সবাই তাকে পছন্দ করে।
২। সুখী জীবন লাভ করা যায়ঃ
স্বামী - স্ত্রী যদি উভয়েই ইতিবাচক চিন্তার অধিকারী হন, তাহলে একে অপরের দোষ ধরা থেকে সর্বদা বিরত থাকেন। এজন্য তারা সর্বদা একজন আরেকজনের ভালো জিনিস গুলোর চর্চা করেন। ফলে সুখী সুন্দর পারিবারিক জীবনের অধিকারী হন তারা।
৩। সুন্দর সামাজিক সম্পর্ক তৈরী হয়ঃ
যেহেতু ইতিবাচক চিন্তার মানুষেরা সদা হাস্যজ্জল, প্রফুল্ল এবং সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হন, এজন্য তারা পছন্দনীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী হয়ে সমাজে তার একটি গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করে সুন্দর সামাজিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন তিনি।
৪। প্রচুর বন্ধু তৈরী হয়ঃ
যেহেতু ইতিবাচক চিন্তার মানুষেরা সুন্দর সামাজিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন , এজন্য তাদের বন্ধু-বান্ধবের অভাব হয় না। আর সেক্ষেত্রে সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে তাদের তেমন ব্যাগ পাইতে হয় না। তারাই পারিবারিক, সামাজিক এবং জাতীয়ভাবে প্রচুর খ্যাতি এবং যশ অর্জন করতে পারেন।
৫। সুস্বাস্থ্যের অধিকরী হওয়া যায়ঃ
যেহেতু ইতিবাচক চিন্তার অধিকারী মানুষেরা চাপমুক্ত জীবনযাপন করেন , এজন্য তারা পরিবারের সবার সাথে সুখী সুন্দর জীবন যাপন করায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েন ।সবাই মিলেমিশে হাসিখুশি আনন্দময় থাকেন। ফলে প্রত্যেকটা মানুষ থাকে নিরোগ দেহের অধিকারী এবং এরা সমাজ ভালো অবস্থান তৈরি করে নিতে পারেন।
৬। উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়ঃ
যে প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের মধ্যে ইতিবাচক চিন্তা চেতনা কাজ করে, তাদের মালিকপক্ষ থেকে শুরু করে সবাই উন্নয়নের স্বপ্ন নিয়ে সদা কর্ম চঞ্চল এবং প্রণোদনাময় থাকে। ফলে উৎপাদনশীলতা বহুগুনে বেড়ে যায়।
৭। সম্মান পাওয়া যায়ঃ
আমরা ভারতের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জনাব এপিজে আবুল কালাম আজাদের বাণী গুলো কম-বেশি সবাই পড়েছি। উনি সারাবিশ্বে নন্দিত , স্মরণীয় , স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব হতে পেরেছেন শুধুমাত্র ইতিবাচক চিন্তা চেতনার কারণে। তার কাছে এসে কেউ হতাশার বাণী শুনতো না। বরং আসার আলোয় স্বপ্ন দেখা শিখে নিতো। এরাই সমাজের আলোকিত মানুষ । এদেরকে সবাই সম্মান করে।
৮। বড় বড় স্বপ্ন তৈরী হয়ঃ
নেতিবাচক চিন্তার মানুষেরা ভবিষ্যতে শুধু অন্ধকার দেখে। তারা বিশ্বাস করে তাদের দ্বারা কিছু হবে না। অপরদিকে ইতিবাচক চিন্তার মানুষেরা সর্বদা আশাবাদী থাকে এবং বড় বড় স্বপ্ন তৈরি করতে পারে । এই পৃথিবীকে যারা সমৃদ্ধ করেছেন তারা সবাই ছিলেন ইতিবাচক চিন্তার মানুষ। বড় বড় স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন এই সমস্ত মানুষ । এদের দ্বারাই পৃথিবী আজকে এত সমৃদ্ধি লাভ করেছে।
ফলাফলঃ
0 Comments