প্রথমে জানতে হবে অ্যালঝাইমার্স রোগটি আসলে কি এবং এটা কেনইবা হয় ?
রোগটির প্রকৃত নাম হল ডিমেনশিয়া। ১৯০১ সালে একজন জার্মান সাইকিয়াট্রিষ্ট অ্যালয় অ্যালঝাইমার সর্বপ্রথম একজন ডিমেনশিয়া রোগীর সন্ধান পান । সেই থেকে তার নামানুসারে রোগটির নাম হয় অ্যালঝাইমার।
ডিমেনশিয়া কি ?
যুক্তরাজ্য ভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান অ্যালঝাইমার্স রিসার্স এর মতে যাদের এই রোগ দেখা দেয়, তাদের কিছু মনে রাখা, চিন্তা করা ও কথা বলা নিয়ে সমষ্যা দেখা দেয়।
গবেষকদের মতে এটি একটি নিউরো ডিজেনারেটিভ ডিজিজ। কোন মানুষের ডিমেনশিয়া তখনই হয় , যখন তার মস্তিস্ক শুকিয়ে যেতে থাকে। ফলে তার স্মৃতিভ্রংস সহ অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেয়।
কোন বয়সের মানুষের এটি হয় ?
সাধারনতঃ ষাটোর্ধ মানুয়দের এই রোগটি হয়ে থাকে। বার্ধক্যজনিত কারনে অথবা বংশানুক্রমে এই রোগটি হয়ে থাকে।
লক্ষণসমূহঃ
প্রাথমিক অবস্থায় হালকা স্মতিভ্রংশ হয়, বাড়ীতে ফিরে আসার রাস্তা ভুলে যায়। একই কাজ বার বার করা, টাকা-পয়সা ঠিকমত চিনতে নাপারা। মন-মেজাজ পরিবর্তন হওয়া , মনের কৌতুহল নষ্ট হওয়া ইত্যাদি।
পরবর্তী ধাপে রোগীরা মানুষের মুখ চিনতে পারে না।সন্দেহ প্রবন ও সবকিছুতে বিরক্তিভাব চলে আসে।
চুড়ান্ত পর্যায়ে রোগীরা পরিবারের সদস্যদের উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল হয়ে পড়ে।
পতিরোধ ও প্রতিকারঃ
সর্বদা নিজেকে কর্মঠ রাখা। অর্থাৎ অবসরে না যাওয়া। সুষম খাবার , ব্যয়াম ইত্যাদি এই রোগ থেকে সুরক্ষা দিতে পারে।
0 Comments