আমরা হাতেখড়ি থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত্য শ্রেণী কার্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক অধ্যয়নের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করে জ্ঞানী হয়ে থাকি। কিন্তু অনেকেই এই জ্ঞানী হওয়াকেই শিক্ষিত বলে থাকে।
প্রকৃত অর্থে, অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে যে ফলাফল তৈরী করা হয়, তাকেই বলে শিক্ষা। অন্য কথায়, আচরনের পরিবর্তনের নামই হল শিক্ষা।
পর্যবেক্ষণ-১ঃ
মাধ্যমিকের কোন ছাত্র জানলো, খাদ্যের উপাদান ৬ টি। ১। শর্করা ২। আমিষ ৩। ভিটামিন ৪। স্নেহ পদার্থ ৫। খনিজ পদার্থ ও ৬। পানি। কিন্তু ছাত্রটি প্রতিদিন যদি ভাত, আলু ও চিনি দিয়ে খাবার খায়, তাহলে সেতো শুধুই কার্বোহাইড্রেট বা শর্করাজাতীয় খাবার খেল। তাহলে বুঝা গেল অর্জিত জ্ঞনকে কাজে লাগিয়ে সে তার আচরনে পরিবর্তন ঘটায়নি। অর্থাৎ সে শিক্ষিত হয়নি, জ্ঞানী হয়েছে।
পর্যবেক্ষণ -২ঃ
আমরা এমন কোন খবর অদ্যাবধি পাইনি যে সুন্দরবনের একটি বাঘ আরেকটি বাঘকে হত্যা করেছে। অর্থাৎ বনের পশুরাও স্বজাতির কোন সদস্যকে হত্যা করে না। কিন্তু আমরা অহরহই পত্র-পত্রিকায় দেখতে পাই, দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ, বিশ্ববিদ্যলয়ের একটি ছাত্র আরেকটি ছাত্রকে হত্যা করেছে। অথচ তার অর্জিত জ্ঞানের কোথাও বিচার বহির্ভূত মানুষ হত্যার অনুমোদন নেই। তাহলে স্পষ্টতই বুঝা গেল, অর্জিত জ্ঞান অনুযায়ী সে তার জীবনকে পরিবর্তন করতে পারে নাই। অতএব সে বই পড়ে জ্ঞানী হয়েছে, শিক্ষিত হতে পারে নাই।
উপরোক্ত ২ টি পর্যবেক্ষণ থেকে আমরা বুঝতে পারি যে, পুরো জাতি আজ জ্ঞানী, পণ্ডিত, বিশেষজ্ঞ সেজে বসে আছি, কিন্তু প্রত্যেকের অবস্থান থেকে নিজেদেরকে পরিবর্তন করতে পারি নাই। অথচ বলে বেড়াচ্ছি আমরা শিক্ষিত।
ভুল উক্তিঃ
বলা হয় , Knowledge is power.
কিন্তু জ্ঞানকে কাজে না লাগাইলে কি পাওয়ার হতে পারে?
তাহলে সঠিক উক্তিটি হওয়া উচিৎ-
Knowledge is power when we use it .
0 Comments