সুস্বাস্থ্যের জন্য আমাদের শরীরে তরল পদার্থের প্রবাহ ঠিক রাখা অত্যন্ত জরুরী। আর শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় রক্তনলীর প্রবাহ ঠিক রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ঘাড়ের রক্তনলিতে ব্লক বা বাঁধা সৃষ্টি হলে তাৎক্ষণিকভাবে ষ্ট্রোক হয়ে মৃত্যূ হতে পারে।
সাধারনতঃ আমরা বলে থাকি যে, রক্তে কোলষ্টরেলের মাত্রা বেড়ে গেলে ষ্টোকের ঝুকি বেড়ে যায়। কিন্তু রক্তে স্বাভাবিক কোলষ্টরেল স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রয়োজন। এই মোম জাতীয় তৈলাক্ত পদার্থটি যখন স্বভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশী হয়ে যায় তখনই নানান বিপত্তি ঘটে।
সাধারনতঃ Low-density lipoprotein (LDL) কে চিকিৎসা বিজ্ঞানে খারাপ কোলষ্টরেল হিসাবে বিবেচনা করা হয়। অপরদিকে High-density lipoprotein (HDL) কে ভাল কোলষ্টরেল হিসাবে বিবেচনা করা হয়। (LDL) এর কারনে রক্তনালরি ভিতরে যে প্লাক জমে, তা রক্ত-প্রবাহে বাঁধা সৃষ্টি করে।
(LDL) এর মাত্রা কমাতে হলে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারেঃ
১। প্রাকৃতিক খাবারঃ
প্রকৃতি থেকে আহরিত খাবার রান্না বিহীন খেতে হবে। পুষ্টিবিদগন বলেন , আমাদের খাবারের ৬০% কাঁচা খেতে হবে। এতেকরে দেহের প্রয়োজনীয় কোলষ্টরেল আমরা ঠিকই পাবো, কিন্তু রক্তনালীতে প্লাক তৈরী হবে না।
২। প্রকৃয়াজাত খাবার ( Processed Food ) ঃ
যত বিপত্তির মূল হল মানুষের তৈরী খাবার । কেক , চানাচুর , বিস্কুট , বার্গার ইত্যাদি যখন উচ্চ তাপমাত্রায় তৈরী করা হয়, এমনিতেই খাদ্যমান নষ্ট হয়ে যায়। তাছাড়া যে পরিমান রাসায়নিক উপাদান ও চর্বি জাতীয় জিনিস ব্যাবহার করা হয় তা LDL বড়িয়ে তোলার জন্য যথেষ্ট।
৩। প্রাণীজ প্রোটিন ঃ
দেহকোষের গঠন ও বৃদ্ধির জন্য প্রোটিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রানীজ প্রোটিনের সাথে মাত্রাতিরিক্ত ফ্যাট থাকার কারনে পরিহার করাই উত্তম। বিশেষ করে চল্লিশোর্ধ সকলেরই রেডমিট সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাগ করা উচিত।
সর্বোপরি কথা হল খাদ্যভ্যাস ও জীবন ধারায় পরিবর্তন এনে আমরা এই সমষ্যা থেকে পরিত্রান পেতে পারি। যাকিছু বলা হল, এগুলো প্রাকৃতিক উপায়। কিন্তু অসুস্থ বোধ করলে অবশ্যই চিকিৎসকের সরনাপন্ন হইতে হবে।
2 Comments
আপনার প্রতিবেদনটি অনেক ভালো হয়েছে তবে লেখার সাইজগুলো এসইও রিলেডেট হয়নি। লেখা বিভিন্ন সাইজের হয়েছে।
ReplyDeleteThank you sir for your good advice
ReplyDelete