কেন আত্মহত্যা করেছিলেন বিখ্যাত এই ছবির ফটোগ্রাফার ?
উত্তর একবারেই পরিস্কার। Kevin Carter , একজন পেশাজীবি ফটোগ্রাফার,
১৯৯৪ সালে সুদানে জাতিসঙ্ঘের খাদ্য গুদামের পাশ দিয়ে হেটে যাচ্ছিলেন ।
তিনি লক্ষ্য করলেন, শকুনটি বসে আছে শিশুটি মারা যাওয়র পর এর মাংস খাবে বলে। চটজলদি তিনি তাঁর ক্যামেরায় বন্দী করলেন এই মর্মান্তিক দৃশ্য। ছবিটি পাবলিস হওয়ার পর সারা দুনিয়ায় হৈ চৈ পড়ে যায়।
কেঁদে উঠেছিল মানবতাবদিী মানুষের চোখ। বিগলিত হয়েছিল তাদের অন্তর। কিন্তু তাদের কান্না পুঁজিবাদী অর্থনীতির বৈষম্যের শিকার তৃতীয় বিশ্বের এই শিশুদের কি বাঁচাতে পেরেছিল ?
Kevin Carter এই শিশুটির কথা কোনভাবেই ভুলতে পারছিলেন না। তথ্য জগতে এই সংবাদটিও প্রচার হয়েছিল যে, Kevin এই শিশুর মর্মযাতনায় কাতর হয়ে তিনমাস পরেই মৃত্যুবরণ করেন।
হায়রে মানবতা !! যুগে যুগে এভাবেই আত্মাহুতি দিয়েছেন বহু মানবতাবাদী মানুষ।কিন্তু আজও মানবতা মুক্তি পায়নি। শেষ হয়ে যায়নি দেশে দেশে পুঁজিবাদের বৈষম্যের শিকার মানুষের দুর্দশা ।
স্যালুট জানাই Kevin Carter কে তাঁর এভাবে জীবন বিসর্জনের জন্য। তাঁর এভাবে পৃথিবী থেকে চিরবিদায় হয়তো মানবতার বৈষম্য ঠেকাতে পারবেনা, তবে এটা অনাগত মানবতাবাদীদের ভাবিয়ে তুলবে এটাই বাস্তবতা।
পরিশেষে জাতীয় কবির বিখ্যাত কবিতা , কাণ্ডারি হুসিয়ার থেকে দুটি চরণ উদৃত করে শেষ করতে চাই,
দুর্গম গিরি কান্তার মরু দুস্তর পারাবার,
লঙ্ঘিতে হবে রাত্রি নিশীথে যাত্রীরা হুসিয়ার !!
0 Comments