নবজাতকের পরিচর্যা কিভাবে করতে হয়।

প্রাণিজগতে মানবশিশু সবচেয়ে বেশি অসহায়।তাই জন্মগ্রহনের পরপরই বিশেষ পরিচর্যা ও যত্নের প্রয়োজন হয়।

নবজাতকের পরিচর্যা কিভাবে করতে হয়।


জন্মের পর নবজাতক সবচেয়ে অসহায় অবস্থায় থাকে এই সময় সঠিক যত্ন না নিলে শিশুর ক্ষতি হতে পারে এমকি মৃত্যু ঝুকি অবধি হতে পারে। তাই নবজাতকের যত্ন সম্পর্কে জানতে হবে।

নবজাতকের যত্নঃ


১. প্রথম করনীয়ঃ

জন্মের পরপরই নবজাতকের শরীর একটি পাতলা নরম সুতির কাপড় দিয়ে ভালোভাবে মুছে আরেকটি শকনো কাপড় দিয়ে জড়িয়ে রাখতে হবে।


২. মাতৃদুগ্ধ পানঃ


জন্মের পরপরই শিশুকে মায়ের বুকে দেয়া ও জন্মের আধাঘন্টার পরই বুকের দুধ খাওয়ানো।


৩. গোসল করানোঃ

 কমপক্ষে ৩ দিন পর গোসল করানো। ঈষদুষ্ণ পানি দিয়ে গোসল করাতে হবে। অলিভ ওয়েল,বেবি ওয়েল ও বেবি সোপ দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করা।


৪. জীবানুর সংক্রমন রোধঃ


নাভি না শুকানো পর্যন্ত বিশেষ যত্ন নিতে হবে। জীবাণুর সংক্রমণ না হয়, সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।


৫. পরিস্কার সচেতন থাকাঃ


মলমূত্র ত্যাগের পর দ্রুত নবজাতকের জামা-কাপড় ও বিছানা-পত্র পরিস্কার করে ফেলতে হবে। এক্ষেত্রে সার্বক্ষনিক ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কুসুম গরম পানিতে নরম সুতি কাপড় ভিজিয়ে চোখ,কান ও নাক পরিষ্কার করে দিতে হবে।


৬. আরামদায়ক পরিবেশঃ

নবজাতকের জন্য আরামদায়ক পরিবেশে ঘুমানোর ব্যাবস্থা করতে হবে।এক্ষেত্রে সুতি কাপড়ের বিছানা আরামদায়ক ও নরম হবে। হালকা ডিজাইনের ঢিলেঢালা পোশাক পরাতে হবে।


৭. পেশির ব্যায়ামঃ


নাভি পড়ার পর শিশুকে পেশির ব্যায়াম করাতে হবে।
সর্বোপরি কথা হল নবজাতক অসুস্থ হলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে।

Post a Comment

0 Comments