শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অবস্থা থেকে বৃদ্ধি পেলে তাকে জ্বর বলে । সুস্থ ব্যক্তির দেহের তাপমাত্রা ৯৮.৫° ফা. বা ৩৭° সে. থাকে । জ্বর হলে এই তাপমাত্রা বেড়ে ১০২°ফা. থেকে ১০৫°ফা পর্যন্ত হতে পারে । দেহের তাপ উৎপাদন ও তাপ অপসারণ এই দুই ব্যবস্থার সমতা নষ্ট হলে জ্বরের উৎপত্তি হয়।
১. তরল খাবারঃ
জ্বর হলে দেহে ক্যালরি চাহিদা বৃদ্ধি পায়।জ্বর কমে আসলে বারে বারে অল্প পরিমানে সহজ পাচ্য তরল ও অর্ধতরল খাদ্য, যেমন: বার্লি, সবজির স্যূপ, আলু সিদ্ধ ইত্যাদি খাদ্য ৩ ঘন্টা পর পর দেয়া দেহে ক্যালরির অভাব পূরণ করার জন্য।
২. পানি জাতীয় খাবারঃ
তীব্র জ্বরে অধিক ক্যালরি বিশিষ্ট তরল যেমন- চিনির শরবত,কমলার রস ইত্যাদি দিতে হবে রোগী যখন আরোগ্য লাভ করতে থাকে তখন তরল খাদ্যের বদলে নরম খাদ্য দিতে হয় এবং ধীরে ধীরে খাদ্যের ঘনত্ব এবং শক্তিমূল্য বাড়িয়ে পরিবারের সাধারন খাদ্যে ফিরিয়ে আনতে হয়।
৩. প্রোটিন জাতীয় খাবারঃ
দেহের ক্ষয়পূরণের জন্য সহজ পাচ্য ও উত্তম মানের প্রোটিনযুক্ত খাদ্য যেমন- দুধ,ডিম,মাছ বা মুরগির ঝোল,পুডিং বা পায়েস ইত্যাদি রোগীকে পথ্য হিসেবে দিতে হয়।
৪. শর্করা জাতীয় খাবারঃ
জ্বর হলে প্রচুর পরিমানে শর্করা খাদ্য দেয়া উচিত।মধু,চিনি,গুড়,নরম ভাত,পাউরুটি ইত্যাদি দেয়া উচিত।
৫. স্নেহ জাতীয় খাবারঃ
জ্বরের রোগীকে বেশী চর্বিযুক্ত খাদ্য দেয়া উচিত নয় কারন চর্বি পরিপাক করা কষ্টকর।সহজ পাচ্য স্নেহ জাতীয় খাদ্য যেমন-মাখন, ডিমের কুসুম ইত্যাদি দেয়া যেতে পারে।
৬. সি ও খনিজ লবন সমৃদ্ধ খাবারঃ
জ্বরে প্রায়ই সব ধরনের ভিটামিন,সোডিয়াম,পটাশিয়াম ইত্যাদি খনিজ লবনের বাড়তি চাহিদা দেখা দেয়।তবে বিশেষ করে ভিটামিন সি দেয়া যেতে পাড়ে।এছাড়া ফলের রস,ডাবের পানি,শরবত,নোনতা বিস্কুট, পনির ইত্যাদি খেয়ে এর চাহিদা পূরণ করা যেতে পারে।
সার কথা হল, জ্বর হলে প্রচুর পানি বেরিয়ে যায়। তাই প্রচুর পরিমানে পানি অথবা পানীয় নানা প্রকার স্যূপ,ফলের রস,ইত্যাদি খাদ্যের মাধ্যমে ৩ থেকে ৫ লিটার পানি প্রত্যহ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
0 Comments