হতাশাগ্রস্থদের জন্য আল কুরআনের নির্দেশনা ।

মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বান্দা কে ডেকে বলেন, আমি তোমার শাহ রগের নিকটে অবস্থান করি।

অতএব তিনি আমাদের সঙ্গে আছেন। ভয়ের কোন কারণ নেই।

মনটা খুব অস্থির? মহান রাব্বুল আলামিন বান্দাকে ডেকে বলেন, আলা বি জিকরিল্লাহি তাতমা ইন্নুল ক্কুলুব।

অর্থাৎ নিশ্চয়ই আল্লাহর স্মরণে বা জিকিরে রয়েছে অন্তরের প্রশান্তি।

অতএব বন্ধু ভয় নেই । রাতের অন্ধকারে তার কাছে সাহায্য চান।



হতাশাগ্রস্থদের জন্য আল কুরআনের নির্দেশনা:


আমরা যখন শয়তানের চক্রান্তে পরে ভুল করে ফেলি গুনাহ করে ফেলি, গুনাহটি করার সময় আমাদের চেতনার গভীরে আমরা যে গুনাহ করছি সেই বুঝটুকু কাজ করে না। যখন অনুশোচনা হয় তখন বারবার মনের গভীরে বিড়ম্বনা তৈরি হতে থাকে। 
মনে হয় , আল্লাহ আমাকে মাফ করবেন না। অথচ মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সূরা ঝুমারের ৫৩ নং আয়াতে বান্দাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তোমরা আমার রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না।

বর্তমান সভ্যতা এমন এক স্তরে পৌঁছে গেছে, মানুষের রুটি রুজি জটিল কঠিন পর্যায়ে। মানুষ তার কেরিয়ার গঠন করার জন্য দিনরাত 24 ঘন্টা পাগলের মত ছুটছে। আর ভিতরে অশান্তি আর হতাশায় ছটফট করছে। 

এমন অবস্থায় মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সূরা রাদের ২৮ নম্বর আয়াতে তার বান্দাদের উদ্দেশ্যে বলেন, সাবধান, নিশ্চয়ই আল্লাহর স্মরণেই রয়েছে তোমাদের অন্তরের প্রশান্তি।
অতএব, সুযোগ পেলেই আমরা চোখ বন্ধ করে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সুন্দর সুন্দর নাম গুলো জপতে থাকবো। আর উত্তম জিকির হচ্ছে কোরআন তেলাওয়াত করা।

আসলে যখন কোন ব্যক্তি হতাশায় নিমজ্জিত হয়, তখন সে নিজেকে খুব একা ভাবতে শুরু করে। অথচ মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সূরা কাফ এর ১৬ নম্বর আয়াতে বলেন, হে বান্দা যারা ঈমান এনেছো, জেনে রাখ আমি তোমাদের শাহ রগের চেয়েও নিকটে অবস্থান করি। অতএব আমাদের কোন চিন্তাও নাই এবং ভয়ও নাই।


ছোট গুনাহ যখন মানুষ করে তখন তার ভিতরে তেমন কোন সাড়া জাগাতে পারে না। কিন্তু যখন পাহাড় সময় গুনাহ হয়ে যায়,  তখন আমাদের মনের অবস্থা কেমন হয় তা আমরা সবাই জানি। 

এক্ষেত্রেও মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সূরা ইনশিরার ৩৫ নাম্বার আয়াতে তাঁর প্রিয় বান্দাদেরকে ডেকে বলেন, আমি ছাড়া তোমাদের গুনাহ মাফ করার কে আছে? অর্থাৎ পাহাড় সমান গুনাহ ও যদি আমার হয়ে যায় , তাহলে মহান আল্লাহ রাব্বুল আমাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন এটাই বোঝা যায়।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে আশ্বাস দিয়ে বলছেন সূরা বাকারার ৫২ নম্বর আয়াতে, হে আমার বান্দা,  তুমি যখন আমাকে স্মরণ করবে , আমিও তোমাকে স্মরণ করব।

অপরদিকে সূরা তালাকের দুই নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার বান্দাদেরকে ডেকে বলেন যদি তোমরা আমাকে ভয় করো , তাহলে কঠিন বিপদ এবং মুসিবত থেকে আমি তোমাদেরকে উদ্ধার করে নেব।

আমরা জানি দুখের পরে সুখ ।এই কথাটিও কিন্তু মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সূরা ইনশিরার ছয় নাম্বার আয়াতে উল্লেখ করে বলেন, দুঃখের পরে অবশ্যই স্বস্তি রয়েছে।

সকল কিছুর উপর নির্ভরতা ত্যাগ করে যদি কোন বান্দা আল্লাহর উপর নির্ভর করতে পারে , তাদের উদ্দেশ্যে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সূরা তালাকের ৬ নং আয়াতে বলেন, যে আল্লাহ উপর ভরসা স্থাপন করতে পারে , তার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। তার সব কাজ পূর্ণ হবে।

তাহলে আসুন,  আমরা সমস্ত হতাশা দুঃখ কষ্ট অন্তর থেকে মুছে ফেলি। কেননা আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট।

আবদুল্লাহ্ , বনশ্রী, ১৩/০৯/১২, (খ্রীঃ)

 


Post a Comment

0 Comments