মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বান্দা কে ডেকে বলেন, আমি তোমার শাহ রগের নিকটে অবস্থান করি।
অতএব তিনি আমাদের সঙ্গে আছেন। ভয়ের কোন কারণ নেই।
মনটা খুব অস্থির? মহান রাব্বুল আলামিন বান্দাকে ডেকে বলেন, আলা বি জিকরিল্লাহি তাতমা ইন্নুল ক্কুলুব।
অর্থাৎ নিশ্চয়ই আল্লাহর স্মরণে বা জিকিরে রয়েছে অন্তরের প্রশান্তি।
অতএব বন্ধু ভয় নেই । রাতের অন্ধকারে তার কাছে সাহায্য চান।
আসলে যখন কোন ব্যক্তি হতাশায় নিমজ্জিত হয়, তখন সে নিজেকে খুব একা ভাবতে শুরু করে। অথচ মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সূরা কাফ এর ১৬ নম্বর আয়াতে বলেন, হে বান্দা যারা ঈমান এনেছো, জেনে রাখ আমি তোমাদের শাহ রগের চেয়েও নিকটে অবস্থান করি। অতএব আমাদের কোন চিন্তাও নাই এবং ভয়ও নাই।
ছোট গুনাহ যখন মানুষ করে তখন তার ভিতরে তেমন কোন সাড়া জাগাতে পারে না। কিন্তু যখন পাহাড় সময় গুনাহ হয়ে যায়, তখন আমাদের মনের অবস্থা কেমন হয় তা আমরা সবাই জানি।
এক্ষেত্রেও মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সূরা ইনশিরার ৩৫ নাম্বার আয়াতে তাঁর প্রিয় বান্দাদেরকে ডেকে বলেন, আমি ছাড়া তোমাদের গুনাহ মাফ করার কে আছে? অর্থাৎ পাহাড় সমান গুনাহ ও যদি আমার হয়ে যায় , তাহলে মহান আল্লাহ রাব্বুল আমাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন এটাই বোঝা যায়।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে আশ্বাস দিয়ে বলছেন সূরা বাকারার ৫২ নম্বর আয়াতে, হে আমার বান্দা, তুমি যখন আমাকে স্মরণ করবে , আমিও তোমাকে স্মরণ করব।
অপরদিকে সূরা তালাকের দুই নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার বান্দাদেরকে ডেকে বলেন যদি তোমরা আমাকে ভয় করো , তাহলে কঠিন বিপদ এবং মুসিবত থেকে আমি তোমাদেরকে উদ্ধার করে নেব।
আমরা জানি দুখের পরে সুখ ।এই কথাটিও কিন্তু মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সূরা ইনশিরার ছয় নাম্বার আয়াতে উল্লেখ করে বলেন, দুঃখের পরে অবশ্যই স্বস্তি রয়েছে।
সকল কিছুর উপর নির্ভরতা ত্যাগ করে যদি কোন বান্দা আল্লাহর উপর নির্ভর করতে পারে , তাদের উদ্দেশ্যে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সূরা তালাকের ৬ নং আয়াতে বলেন, যে আল্লাহ উপর ভরসা স্থাপন করতে পারে , তার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। তার সব কাজ পূর্ণ হবে।
তাহলে আসুন, আমরা সমস্ত হতাশা দুঃখ কষ্ট অন্তর থেকে মুছে ফেলি। কেননা আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট।
আবদুল্লাহ্ , বনশ্রী, ১৩/০৯/১২, (খ্রীঃ)
0 Comments