সফল ব্যক্তিদের ৮টি ভিন্ন অভ্যাস

আমরা যারা সত্যিকার অর্থে সফল হতে চাই, অবশ্যই দেখতে হবে, ইতিপূর্বে কারা সফল হয়েছেন।জি বন্ধুগন, আজ আমি ছাত্রজীবনের সফলতার কথা বলছি না। বলছি জীবনে বা কর্মক্ষেত্রে সফলতার কথা।

সফল ব্যক্তিদের ৮টি ভিন্ন অভ্যাস

আমি এখানে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের কথাই বলব যারা সম্পূর্ণ নিজের যোগ্যতায় সফল হতে চান।

প্রথম কথা হচ্ছে, সফলতা কি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আসবে ? নিশ্চয়ই না। এর জন্য চরম মূল্য দিতেও সফল ব্যক্তিগন প্রস্তুত থাকেন।

আমরা যদি সফল ব্যক্তিদের জীবনী পর্যালোচনা করলে আমরা পাই, প্রত্যেকের কিচু ব্যতিক্রম অভ্যাস।যেমন:


১। সদা হস্যোজ্জল: 


এই গুনটি যিনি রপ্ত করতে পারেন, তিনি মানুষের কাছে অতি সহজেই প্রিয়ভাজন হয়ে উঠতে পারেন। লোহা যেমন চুম্বকের প্রতি আকৃষ্ট হয়, তিনি একটি অদৃশ্য যাদুকরী শক্তি নিয়ে সফলতার মঞ্চের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন।


২। মার্জিত পোশাক: 


আমরা নিশ্চয়ই পারস্যের বিখ্যাত কবি শেখ সাদীর গল্পের  কথা জানি। সাধারন পোশাকে রাজ দরবারে তিনি ছিলেন গুরুত্বহীন। কিন্তু রুচিশীল পোশাকে তার কদর বেড়ে গিয়েছিল।বিজ্ঞানী আইনষ্টাইনের মত দুএকটা ব্যতিক্রম ছাড়া পৃথিবীর সব সফল ব্যক্তিরা রুচিশীল পোশাকের প্রতি যত্নশীল ছিলেন।


৩।  আন্তব্যক্তিক সম্পর্ক: 


পৃথিবীর সকল বিখ্যাত ব্যক্তি এ গুনটি কজে লাগিয়েছেন। সমস্ত নবী-রাসুল (আঃ) গন , বিশ্বের রাষ্ট্রনায়কেরা, সারা বিশ্বের কর্পোরেট লিডারগন এমনকি স্থানীয় সরকারের নেতৃবৃন্দসহ সকলেই মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়েছেন শুধু তাদের সফলতা ছিনিয়ে আনার জন্য। এটি একদিনে অর্জিত হয়না, প্রতিদিন এই সমপর্ক তৈরীর জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হয়।


৪। উত্তম শ্রোতা হওয়া: 


মনে রাখতে হবে আপনার কাঙ্খিত ব্যক্তিগন সবসময় আপনার কথা শুনতে চাইবেনা।আপনি যদি তাদের কথা মনযোগ দিয়ে শুনতে পারেন, তারা বার বার আপনার সাথে মিশতে চাইবে।কারন মানুষ স্বভাবত: বলতে বেশী পছন্দ করে।


৫। উদ্দীপনা: 


এটি অনেক বড় একটি কৌশল।যে কাজে আপনার আগ্রহ উদ্দীপনা কাজ করে না, সেটিতে পা বাড়াবেন না। আমরা রাইট ব্রাদার্স এর কথা জানি। ছোট্ট অরভিল এবং উইলভার রাইট প্রপেলার নিয়ে বাতাসে দৌড় দিত। এটি ছিল তাদের মজার একটি খেলা। এটি করতে করতে একসময় তারা চিন্তা করল, কিভাবে প্রপেলার ঘুরিয়ে আকাশে উড়া যায়।অতএব যে বিষয়ে আপনার আগ্রহ নাই টির ধারে কাছেও যাবেন না।


৬। পেশোনেট (নেশাগ্রস্থ): 


সফল ব্যক্তিরা তাদের কাজে েএমনভাবে ডুবে থাকতেন, এমনকি জীবনের অন্যান্য কাজকর্ম ভুলে যেতেন। একবার ডক্টর মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ গ্রন্থাগারে বই পড়ছিলেন। বিকেলে পিওন তালাবদ্ধ করে চলে যায় , উনাকে খেয়াল করেনি। পরের দিন সকালে পিওন তালা খুলে দেখে উনি আপনমনে বই পড়ে যাচ্ছেন। 


৭। বিশ্বাসী হওয়া: 


এটি হচ্ছে মাষ্টার কি। বিশ্বাস নিয়ে কাজ করেছিলেন বিধায় টমাস আলভা এডিসন বৈদ্যুতিক বাল্ব আবিস্কার করতে গিয়ে ১০০০ বার চেষ্টা করার ধৈর্য্য অর্জন করেছিলেন যা সত্যিই তাকে সফল করেছিল।


৮। জ্বলন্ত আকাঙ্খা (Burning desire ) : 


এই গুনটি না থাকলে কিছুই হবে না। কোন কিছু পাওয়ার জ্বলন্ত আকাঙ্খা মানুষকে ঘুমাতে দেয়না। ভারতের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট এ.পি.জে আবুল কালাম আজাদ যথর্থই বলেছেন,“স্বপ্ন সেটি নয়, যা মানুষ ঘুমিয়ে দেখে। বরং স্বপ্ন সেটি যা মানুষকে ঘুমাতে দেয়না।

সর্বোপরি বিনয়,সদাচরন এবং পরোপকারী মনোভাব নিয়ে যারা সামনে এগিয়ে যায়, তারাই সফলকাম।


 

Post a Comment

0 Comments