জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন এর মতে একটা মানুষকে তিন ভাবে সুস্থ থাকতে হয়।
১। শারীরিক সুস্থতাঃ
ধরুন একজন মানুষ শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ কিন্তু তার বাসায় খাবার কেনার টাকা নেই । এখন বলুনতো উনি কি সুস্থ ? নিশ্চয় না।
২। মানসিক সুস্থতাঃ
উনি কিন্তু মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন। সাং সারিক অভাব অনটন এমন একটি ব্যাধি যা পরিবারের প্রত্যেকটি লোককে চিন্তাক্লিষ্ট করে ফেলে। ফলে তাদের সামাজিক বন্ধন দুর্বল হয়ে পড়ে। আদর্শ নাগরিক হিসাবে তারা নিজেদের বিকাশ ঘটাতে পারে না।
৩। সামাজিক সুস্থতাঃ
আবার কোন মানুষ শারীরিক এবং মানসিক ভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ কিন্তু দেখা গেল তার ছেলে বা মেয়ে ভার্সিটিতে ক্লাস করতে গিয়েছে । ততক্ষণে সংবাদ এল ভার্সিটির ক্যাম্পাসে গুলাগুলি।বলুন তো উনি কি সুস্থ? নিশ্চয়ই না এ ধরনের সামাজিক অস্থিরতা সুস্বাস্থ্যের বিঘ্নতা ঘটায়।
তাছাড়া সুস্থতার বিজ্ঞানে একটি চতুর্থ উপাদান মনোবিজ্ঞানীরা যোগ করেছেন যাকে বলা হয় আধ্যাত্বিক সুস্থতা বা স্পিরিচুয়াল হেলথ।
এক্ষেত্রে আমরা লক্ষ্য করি কোন ছেলের মা হঠাৎ করে ফোন ধরছেনা তার আত্মা কষ্ট পাচ্ছে । কোন ছেলের প্রেমিকা যদি ফোন না ধরে তার আত্মা কষ্ট পায়।
আবার কোন মুরিদের পীরসহেব যদি ফোন না ধরে, তারও আত্মা কষ্ট পায় । এই সকল ক্ষেত্রে মানুষগুলো অসুস্থ হয়ে পড়ে। যখনই আত্মার বন্ধন আবার স্থাপিত হয়, মানুষগুলো, আবার সুস্থ হয়ে ওঠে ।
এটি অনেক বড় একটি বিজ্ঞান।
অতএব, সুস্থতার জন্য মনস্তাত্বিক বিষয় এবং ধ্যান-মেডিটেশান ইত্যাদির গুরুত্ব অপরিসীম।
0 Comments