মোবাইল রেডিয়েশনের কারনে কি সমস্যা হয়, এর থেকে বাঁচার উপায় ।

আজ আমি অতিমাত্রায় সেলফোন ব্যাবহারের ক্ষতি বিষয়ক আলোচনা এজন্য করছি যে, বিজ্ঞানের আবিষ্কার মাঝে মাঝে অভিশাপ হয়ে দাঁড়ায়।

মোবাইল রেডিয়েশনের কারনে কি সমস্যা হয়, এর থেকে বাঁচার উপায় ।



জাতিসংঘের  ''WHO Concern of Mobile Hazards'' শিরোনামে তথ্য উঠে এসেছে , একটি মাইক্রো ওভেন যে পরিমাণ  রেডিয়েশন দেয় তার সমান রেডিয়েশন দেয় একটি  সেলফোন।


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডঃ প্রাণগোপাল দত্ত এক সেমিনার এ বলেছিলেন, ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের হাতে কোন অবস্থায়ই সেলফোন দেওয়া উচিত নয়। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, যখন আমরা ১৫ মিনিট ধরে একটি সেলফোন কানে ধরে রাখি, রেডিয়েশনে হিট জেনারেটিং এর কারনে আমাদেরে কানের চতুর্পাশে আগুনের মতো লাল হয়ে যায়, কান গরম হয়ে যায় এবং মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে যায় ।


তিনি আরো বলেন, সেলফোনটি ৫মিনিট ব্যবহারের কারণে তেমন কোনো থার্মাল ইফেক্ট তৈরী হয়না । কিন্তু সেলফোনটি ১৫-২০ মিনিট যদি  ধরে রাখা হয়, তাহলে আমাদের মস্তিষ্কসহ কানের চতুর্পাশের এলাকার তাপমাত্রা ২° সেলসিয়াস বেড়ে যায় ।


বন্ধুরা, সাধারণ ভাবে প্রাপ্তবয়স্কদের শরীরের তাপমাত্রা ১০০° সেলসিয়াসের বেশি হওয়া মানে আমরা জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার লেভেলে পৌছে যাই। প্রাপ্তবয়স্করা এই থার্মাল ইফেক্ট সহ্য করতে পারলেও, এই  লেভেলে শিশুদের খিঁচুনি পর্যন্ত্য হয়ে ।


ফলেযারা সব সময় মোবাইল ব্যবহার করেনতাঁরা একটু সাবধানে থাকবেনমাথায় রাখবেনদিবারাত্র মোবাইল ফোন ব্যবহারের বিপদ-আপদ!


তাই আসুন, সর্বোচ্চ ২ মিনিটের মধ্যে সেলফোনে কথা শেষ করি ৈএবং বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের এই অভিশাপকে আশীর্বাদে পরিণত করি এবং ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের হাতে কোন অবস্থায়ই সেলফোন না দেই।


আরও বেশী জানতে চাইলে দেখতে পারেন ডক্টর প্রাণগোপাল দত্তের ভিডিওগুলি।

Post a Comment

2 Comments

  1. মোবাইলের মাধ্যমে এতবড় ক্ষতি হয় জানতাম না। তবে আজকে জানতে পারলাম। ধন্যবাদ প্রতিবেদনটি উপহার দেওয়া জন্য।

    ReplyDelete
  2. ধন্যবাদ সবুজ রায়হান।

    ReplyDelete