আমাদের বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা এই খাদ্যভ্যাসের কারনে নানান রোগব্যধিতে আক্রান্ত হচ্ছে।সারারাত আমাদের পরিপাকতন্ত্র অভূক্ত থাকার কারনে নিস্তেজ হয়ে পরে। সূর্যোদয়ের পূর্বেই স্ব স্ব ধর্মীয় কাজ সেরে দিবসের প্রধান খাবার যা ব্রেকফাষ্ট নামে পরিচিত, খেয়ে নেওয়া উচিৎ।অথচ তারা এ সময়ে বেঘুরে ঘুমায়। সারারাত বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে চ্যটিং করে কিইবা করবে?
আপনারা নিঃসন্দেহে স্বীকার করবেন, আমাদের দেশের নাগরিকদের চেয়ে চীন দেশের নাগরিকরা অধিকতর সুস্থ ও দীর্ঘজিবী। শুনলে অবাক হবেন তাদের যুক্তিনির্ভর করা খাদ্যাভ্যাস।
চায়নিজরা দিবসের প্রধান খাবার গ্রহন করে সকাল ৮ ঘটিকার মধ্যে। এসময় তারা সারাদিনের পুস্টি সমৃদ্ধ খাবারগুলি খেয়ে নেয়। তাদের দেশে প্রবাদ রয়েছে, --সকাল বেলা রাজার খাবার, দুপুরবেলা প্রজার খাবার এবং রাতের বেলা গরীবের খাবার।তাছাড়া দুপুরের খাবার তারা ১ টার মধ্যে এবং রাতের খাবার ৮ টার মধ্যে খেয়ে নেয়।এমনভাবে তারা ণিয়ম মেনে চলে যে, রাত ৮ টার পর খাবারের দোকানগুলি বন্ধ হয়ে যায়।
আমরা একটু পিছনে ফিরে গেলে দেখবো, আগের দিনের মানুষ রাত ৮ টার মধ্যে এশার নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে যেত। ফলে ভোরবেলা তাদের সহজেই মল পরিস্কার হয়ে যেত। এখন ডিজিটাল যুগের মানুষগুলির খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম এবং সারারাত চ্যটিং ড্যটিং এ কারনে শয্যাত্যাগের পর বিড়ি টেনেও মল পরিস্কার হয় না।
আমাদের মনে রাখতে হবে, সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন :
১। সময়মতো পুষ্টি সমৃদ্ধ আহার
২। সময়মতো নিদ্রা ও শয্যাত্যাগ
৩। প্রতিদিন নিয়মিত কোষ্ঠ পরিস্কার করা।
৪। প্রতিদিন দমচর্চা কমপক্ষে ২০ মিনিট এবং
৫। দৈনিক ভোরের আলো সেবন ( Light of life ) কমপক্ষে আধাঘন্টা।
সর্বোপরি না পাওয়ার বেদনা একেবারেই মন থেকে মুছে ফেলুন, হাসিখুশি দুশ্চিন্তামুক্ত জীবন যাপন করুন, আর স্ব স্ব ধর্মমতে প্রতিদিন প্রার্থনায় অংশগ্রহন করুন। সকল দুশ্চিন্তা স্রষ্টার কাছে দিয়ে দিন, কারন আমরা তঁরই সৃষ্ট।
0 Comments